নারায়ণগঞ্জে নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
সোনালী নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে তার গাল আগুনে ঝলসে দেয়।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন নারী সাংবাদিক সোনালী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এছাড়া এই ঘটনায় টিটুর সহযোগী হিসেবে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক, এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিককে তার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের মতো সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেট। কারণ পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ক্ষমতায় আসা তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।
মামুন মাহমুদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ইকবাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
জেইউ/এমএসএ