কারফিউ শিথিলের পর সড়কে গাড়ির চাপ, ব্যক্তিগত গাড়িই বেশি
চলমান কারফিউ ৭ ঘণ্টার জন্য শিথিল হওয়ার পর রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। তবে গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। ফলে অনেক সড়কে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং, বিএনএস, রাজলক্ষ্মী, জসীমউদ্দিন এবং এয়ারপোর্ট এলাকায় এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল দশটায় কারফিউ শিথিল হওয়ার পর থেকেই সড়কে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। শুরুতে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা যায়।তবে কিছু সময় পর থেকে গণপরিবহনের চলাচল বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাখালী থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এবং ময়মনসিংহ থেকে মহাখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস, মাইক্রোবাসের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
অপরদিকে এই রুটে চলাচলকারী মিনিবাসের সহকারীরা বলেন, মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাজ করছে। যে কারণে দুপুরের আগে কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। সেজন্য সকাল ১০টায় কারফিউ শিথিল হলেও দুপুরের আগে তেমন যাত্রীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
ভিআইপি ২৭ বাসের সহকারী আরিফুল বলেন, একবারে খালি আসতে হয়েছে। দুপুরের পর মানুষের ভিড় বাড়ে। আবার বিকেল হতে হতে কমে যায়। কবে যে আগের মতো সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে জানি না।
এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনের চালক রাজন মিয়া বলেন, যাত্রী নাই। রাস্তাও মোটামুটি ফাঁকা। মানুষ ভয়ে বাইরে বের হয় না। সকালে অফিসের মানুষের জন্য একটু ভিড় থাকে তারপরে আবার ফাঁকা গাড়িই টানতে হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি ঠেকাতে ঢাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের কারফিউ আজ ৭ ঘণ্টা শিথিল রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার মানুষজন স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য ঘরের বাইরে আসতে পারবেন। একইসাথে এ সময়ের মধ্যে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের কার্যক্রমও।
আরএইচটি/জেডএস