ব্র্যান্ডের জুতা এপেক্সের নাম বদলে এপোক্স, বাটা বদলে বালা
দেশের জুতার অন্যতম ব্র্যান্ড এপেক্সের নামের অনুকরণ করে লেখা হচ্ছে এপোক্স। বাটার জুতার নাম বদলে করা হয়েছে বালা। লোটো জুতা নকল করে বানানো হচ্ছে লাটো। এভাবেই নামিদামি সব ব্র্যান্ডের জুতা নকল করে বিক্রি করা হচ্ছে। সহজ সরল সাধারণ ক্রেতাদের বোকা বানিয়ে ঠকানো হচ্ছে।
বুধবার (৫ মে) পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে জুতার পাইকারি মার্কেটে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন ঢাকা পোস্টকে জানান, নামিদামি সব ব্র্যান্ডের জুতা সূক্ষ্মভাবে বানান পরিবর্তন করে বিক্রি করা হচ্ছে। বাটা জুতার নাম বালা লেখা। এপেক্সের নাম এপোক্স লেখা। অনেকে সহজে এসব যে নকল জুতা বুঝতেও পারবে না। এসব জুতার বেশিরভাগ বিক্রি হয় জেলা ও মফস্বল এলাকায়। এতে করে গ্রামের সাধারণ ক্রেতারা ব্র্যান্ডের নামে নকল জুতা কিনে ঠকছেন। অধিদফতরের পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ না করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিশেষ সেবা সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে ৫৫টি মনিটরিং টিম পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১৫৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৮টি মনিটরিং টিম ১১টি পাইকারি ও খুচরা বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। রাজধানীর এসব বাজার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত মোবাইল টিমের সঙ্গে বাজার তদারকি করেন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ও মাহমুদা আক্তার।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকদের নেতৃত্বে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বাজার ও ফলের আড়তে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাজার তদারকিকালে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। বিক্রেতাদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও স্থানে হ্যান্ড মাইকযোগে স্বাস্থ্যবিধিসহ ভোক্তা সাধারণের করণীয় সম্পর্কে প্রচারণা চালানো হয়। পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিরা অধিদফতর পরিচালিত বাজার অভিযানে সহযোগিতা করে।
এসআই/এসএসএইচ