‘লস এঞ্জেলেসে বিক্ষোভ আয়োজনে যুক্ত পাকিস্তানি নাগরিকরা’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজনে পাকিস্তানি নাগরিকদের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লস এঞ্জেলেসে আমাদের মিশনের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে পাকিস্তানিরা জড়িত ছিল এবং বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি এটার সঙ্গে ছিল। আমাদের বেশ কয়েকটি মিশনের সামনে যে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে পাকিস্তানি কমিউনিটির সহায়তা ছিল।’
বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠী অনেক জায়গায় পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে। আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনের সামনে বিক্ষোভে পাকিস্তানের নাগরিকদের সম্পক্ত থাকায় ইসলামাবাদের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া কিংবা ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে কি না? এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা ওখানকার স্থানীয় ইস্যু। যারা লস এঞ্জেলেসে এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তারা পাকিস্তানি কমিউনিটির। তারা পাকিস্তানে থাকে না।’
৫৪ বাংলাদেশিকে শাস্তি দিয়েছে দুবাই সরকার
সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ঘটনায় দুবাই সরকার ৫৪ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। এছাড়া, সৌদি আরও কিছু বাংলাদেশিকে শাস্তি দিয়েছে। তবে, দেশটির শাস্তির আওতায় আসা বাংলাদেশির সংখ্যা কত তা এখনও জানা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবর আমিরাতে ৫৪ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একজনকে এক বছর এবং বেশ কয়েকজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইভাবে আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সৌদি আরবে হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারাও সেখানে কিছু বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে।’
দুবাইয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ওটা ওদের আইনি ব্যাপার।’
সৌদিতে গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সৌদি বলেছে গ্রেপ্তার করেছে, সংখ্যাটা আমি এখন বলতে পারব না। সেটি আমাকে জেনে জানাতে হবে।’
দুবাইয়ে শ্রমবাজার বন্ধের তথ্য ভোগাস
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দুবাইয়ের শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার খবর চাউর হয়েছে। তবে, সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিষয়টি সঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, আরব আমিরাত আমাদের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছে। এটা নিঃসন্দেহে ভোগাস। যারা এ সংবাদ দিয়েছেন, যাচাই-বাছাই না করে দেওয়াটা সমচীন হয়নি, সঠিক হয়নি। এ ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ যাচাই-বাছাই করে দেওয়া উচিত। আমরা একটু আগে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
এনআই/কেএ