ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় টেলিযোগাযোগ শিল্পে ব্যবসা কমেছে ৩০ শতাংশ
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে ইন্টারনেট সুবিধাভোগী আরও পাঁচ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার জন্য সারা দেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হবে। কারণ এরই মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে সরকারি সব ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ইন্টারনেটের সব এক্সেস যেন জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। মনে রাখতে হবে ইন্টারনেট এখন শুধু কথা বলার জন্য না। এই মাধ্যম এখন আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার।
কয়েকদিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকা সময়ের বিল পরিশোধের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইড লাইন অনুসারে একটানা তিন দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে। আর ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন আগস্ট মাসের বিল গ্রাহকদের কাছ থেকে যাতে না নেওয়া হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব না ছড়ানোর জন্যও গ্রাহকদের অনুরোধ করেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরএইচটি/এমজে