শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ
কোটাবিষয়ক চলমান আন্দোলনে সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সংস্থাটি বলছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, চলমান আন্দোলনে সৃষ্ট সংঘাতে কমিশন নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে। পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে আহতদের সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য সরকারকে জোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘাত নিরসনে সব পক্ষের ধৈর্য, সহমর্মিতা ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ধরনের প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেদনাদায়ক। প্রতিটি প্রাণ দেশ, জাতি ও পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নিহত হওয়ার প্রতিটি ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারকে যথাযথ সহায়তার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কমিশন মনে করে, সব শিক্ষার্থীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
একদিকে যেমন সর্বোচ্চ আদালতের চলমান কার্যক্রম ও আপাতত নির্দেশনা কোটা সংস্কার বিষয়ক উদ্ভূত সংকট নিরসনে একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর পারস্পরিক আলোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি স্থায়িত্বশীল ও যৌক্তিক সমাধানের রূপরেখা প্রণয়ন গুরুত্বপূর্ণ। অবরোধ, সংঘর্ষ ও সহিংসতা পরিহারপূর্বক জনদুর্ভোগ নিরসনের মাধ্যমে জনজীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়ন এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পরিচালনে সহায়তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কমিশন আহ্বান জানাচ্ছে। কমিশন বিশ্বাস করে, সব পক্ষের আন্তরিক ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় উদ্ভূত সমস্যার কাঙ্ক্ষিত সমাধান অচিরেই নিশ্চিত হবে।
জেইউ/এমএ