গুলি-মার খেয়ে ঢামেকে এসেছেন ৮০ জন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে উত্তাল রাজধানী। এরইমধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন এলাকা। দুই পক্ষের মারধর এবং গুলিতে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৮০ জন। এছাড়াও রাজধানীতে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, বিকেল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৮০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এমনকী তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতকাল (১৫ জুলাই) কোটা নিয়ে আন্দোলনে ৩০৫ জন চিকিৎসা নিতে আসেন।
এদিকে, রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই পথচারী তার নাম পরিচয় বলতে পারেননি।
অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আকাশ মাহমুদ বলেন, আমরা তাকে ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে পড়ে থাকতে দেখি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
টিআই/জেডএস