সারাদেশে এপিএ স্বাক্ষর করেছে প্রায় ২৬ হাজার সরকারি অফিস
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ছাব্বিশ হাজার সরকারি অফিস ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ) স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে এপিএ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজটি এপিএএমএস নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট এপিএ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ সব পর্যায়ের সরকারি অফিসকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ এবং মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ প্রবর্তন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্যে প্রতিবছর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে।
তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য, গৃহীত কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা এবং এ সব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক বিধৃত রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক ও মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ’র আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তী সময়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অধীনস্ত দপ্তর, সংস্থার এপিএ স্বাক্ষর শুরু হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের অফিসসমূহকে এপিএ’র আওতায় আনা হয়। সব শেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসসমূহে এপিএ সম্প্রসারিত হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষরের পাশাপাশি বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে মোট ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সেরা ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাক্রমে ১. বিদ্যুৎ বিভাগ ২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৪. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫. কৃষি মন্ত্রণালয় ৬. সেতু বিভাগ ৭. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৮. খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (যৌথভাবে) ৯. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ১০. অর্থ বিভাগ।
প্রতিবছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরস্কারও প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিনিয়র সচিব ও সচিবগণের মধ্য হতে ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ মো. মাহবুব হোসেন, সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-কে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২৩-২৪’ প্রদান করা হয়।
এসএইচআর/এসএম