মামলা উঠিয়ে নিল কলেজছাত্রী : বেতনসহ চাকরিতে পুনর্বহাল সেই ইউএনও
একটি মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার পর সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনজুর হোসেন। সেই মামলা উঠিয়ে নিয়েছে অভিযোগকারী। মামলা নিষ্পত্তি করে অভিযুক্ত এ কর্মকর্তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ রায়ের ফলে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে সরকারি চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
এতে জানানো হয়, টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় দণ্ডবিধি ৪৯৩ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। এরপর মনজুর হোসেনকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তবে মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী বা অভিযোগকারী ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান মোতাবেক মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করলে আদালত চলতি বছরের ৬ মে এ দরখাস্ত মঞ্জুর করেন এবং মামলা নিষ্পত্তি করে অভিযুক্তকে খালাস দেন। এজন্য সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী মো. মনজুর হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে সরকারি চাকরিতে পুনর্বহাল করা হলো।
বিধি অনুযায়ী তার সাময়িক বরখাস্তকাল কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হলো এবং তিনি সাময়িক বরখাস্তকালের পূর্ণ বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এর আগে আদালত সূত্রে জানা যায়, মনজুর হোসেন ২০২১ সালে বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এসএইচআর/এমজে