কোটাবিরোধী আন্দোলন : বৃষ্টির মধ্যেই সাইন্সল্যাবে প্রস্তুত পুলিশ
কোটা নিয়ে আদালতের আদেশের পরও আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিনের এমন বক্তব্যের পর বৃষ্টির মধ্যে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে। এই স্পটেই গত তিনদিন ধরে কোটা বাতিলের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় একদফা দাবিতে সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। যদিও বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত সাইন্সল্যাব মোড়ে আন্দোলনকারীদের কাউকে দেখা যায়নি।
সাইন্সল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স এবং ঢাকা সিটি কলেজের সামনে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের কয়েকটি দল অবস্থান করতে দেখা গেছে। বাড়তি পুলিশের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাইন্সল্যাব মোড়েই কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেবে। বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। আমাদের আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ছাত্রসমাজ অন্যায় কোনো আবেদন করেনি। যুগের পর যুগ আমাদেরকে ঠকানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সারা বাংলাদেশের সব সাধারণ ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী আইন পাস করে কোটা বাতিল করতে হবে। অথবা যদি কোটা রাখতেই হয় তাহলে সবমিলিয়ে ৫ শতাংশ কোটা রাখা যাবে। এই দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।
আরএইচটি/এমজে