বিজেএমসিকে ৩ মাসের মধ্যে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ
বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনকে (বিজেএমসি) আগামী তিন মাসের মধ্যে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি।
সোমবার (০৮ জুলাই) সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি’র ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নুরুজ্জামান আহমেদ, মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, আনোয়ারুল আশরাফ খান ও নাজমা আক্তার।
বৈঠকে বিজেএমসির ওপর সিএজি কর্তৃক প্রণীত এবং সংসদে পেশকৃত অডিট রিপোর্টের অডিট আপত্তির বিষয় আলোচনা করে কয়েকটি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। অবশিষ্ট অডিট আপত্তিগুলো ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে বিজেএমসির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ; বিজেএমসির বার্ষিক রিপোর্টের বিষয়ে আলোচনা; বিজেএমসির ওপর সিএজি কর্তৃক প্রণীত ও সংসদে পেশকৃত অডিট রিপোর্টের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির বিষয়ে পর্যালোচনা; বিজেএমসির ইউনিটসমূহের বিগত পাঁচ বছরের একীভূত স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় হিসাব ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং উক্ত হিসাবের বিষয়ে কোনো বিশেষ প্রবণতা থাকলে সে বিষয়ে আলোচনা; বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ের সর্বশেষ হিসাব (আর্থিক ও কনফিডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্টের রিপোর্ট); অধিকতর দক্ষ ও লাভজনকভাবে বিজেএমসি পরিচালনার বিষয়ে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা, কর্মদক্ষতা, উন্নয়ন ও মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো পর্যালোচনাসহ ষষ্ঠ বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ করা হয়।
বৈঠকে বিজেএমসির মালিকানাধীন যেসব মিলস লিজ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো লাভজনক কিনা, সম্পদটি সিকিউরিটাইজ করে বন্ড, শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে সরকারের কোনো লাভজনক কাজে ব্যবহার কিংবা বিজেএমসির কোনো শিল্পকারখানা আধুনিকায়ন করার কাজে লাগানো যায় কি না, তা একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিটি সংশ্লিষ্টদের সুপারিশ করে।
বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিজেএমসির যে তিনটি মিলস এখনো লিজ দেওয়া হয়নি, সেগুলোকে ইকনোমিক জোন কিংবা হাইটেক পার্কে প্রতিস্থাপন করা যায় কি না, তা নিরূপণে একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে বিজেএমসির বিগত পাঁচ বছরের একীভূত স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় হিসাব ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং সর্বশেষ হিসাব আর্থিক ও কনফিডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্টের ওপর সিএজির কার্যালয় হতে যেসব মতামত দেওয়া হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজেএমসির চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরাসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/কেএ