সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি দ্রুতই চূড়ান্ত হবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। দ্রুতই সেটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে সচিব সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের যে আচরণ বিধিমালা ছিল ১৯৭৯ সালের, সেটিকে আপডেট করার কার্যক্রম চলছিল। সেটির অগ্রগতি কী, আমরা জেনেছি। আশা করছি, দ্রুতই সেটা ফাইনাল হয়ে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন প্রথম সচিব সভা করেন তখন আমাদের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছিল, আমরা যেন বছরে অন্তত দুটি সচিব সভা করি। তখন আমরা হিসাব করেছিলাম যে জুলাই মাসে একটি সচিব সভা করব। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, প্রথম সভার যে বাস্তবায়ন অগ্রগতি সেটি জানতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সভায় গত সভার বাস্তবায়ন অগ্রগতি আলোচনা হয়েছে। আমরা শুদ্ধাচার বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছি। বাজেট বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনী ইশতেহার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের কিছু দাপ্তরিক কাজে প্রধানমন্ত্রী সময়ে সময়ে যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো যেন যত্ন সহকারে সিরিয়াসলি অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে সভায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকজন কর্মকর্তা বা সাবেক কর্মকর্তার দুর্নীতির তথ্য সামনে এসেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। স্পেসিফিক কিছু আলোচনা করিনি। এত সচিব নিয়ে তো আমরা এ জাতীয় বিষয়ে আলোচনা করব না।
সচিবরাই তো মন্ত্রণালয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হ্যাঁ। কিন্তু আমরা একজন-দুজনের অপকর্ম নিয়ে, কোনো একটি অভিযোগ নিয়ে তো এত সচিবকে ডেকে এনে আলোচনা করব না। এটি তো খুব স্বাভাবিক বিষয়।
সভায় বিশেষ কোনো নির্দেশনা বা শুদ্ধাচার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি, আমাদের যে শুদ্ধাচার নীতিমালাটি আছে সেটি প্রায় ১২ বছর হয়ে গেছে। এটি এখন আমরা আপডেট করার চিন্তা-ভাবনা করছি। সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের স্বচ্ছতার কথা বলেছি। আমরা বলেছি, অধস্তন যে অফিসগুলো আছে, যেখান থেকে মানুষকে সেবা দেওয়া হয়, সেই সেবাটা যেন ঠিকমতো দেওয়া হয়। সেই কাজটা যেন জোরালোভাবে মনিটর করা হয়। মানুষের যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেগুলো যেন খুব সিরিয়াসলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এসএইচআর/এসকেডি