তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকেও কাউন্সেলিং ব্যবস্থার তাগিদ
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য শহর থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকেও প্রযুক্তির সহায়তায় কাউন্সেলিং প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি সম্মেলন কক্ষে ‘বিসিসি, ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও মনের বন্ধু’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আইসিটি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সাইবার বুলিং বন্ধ করা, নেগেটিভ কনটেন্ট শনাক্ত ও রিমুভ করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমাদেরকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিপ ফেকের মতো যেসব ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী, তাদেরকে শনাক্ত করতে হবে। তাদের দায়বদ্ধতা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
দেশে স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সচেতন হওয়ার এবং অন্যকে সচেতন করার এখনই উপযুক্ত সময়। দেশব্যাপী এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেন্টরিংয়ের জন্য প্রশিক্ষক ও কাউন্সিলর নিয়োগ করতে হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. বুশরা বিনতে আলম, ইউএনডিপির সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক, পিটিআইবির প্রোজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোয়েলমান, এনআইএমএইচের প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাওহিদা শিরোপা।
আরএইচটি/কেএ