বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সব জাতের আম, দাম চড়া
জমে উঠেছে আমের বাজার আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি আর লক্ষণভোগ আমে ভরে গেছে বাজার। তবে বাজারে প্রায় সব ধরনের আম আসলেও দাম এখনও চড়া রয়েছে বলেই অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এবছর আমের ফলন কম হওয়ার ফলেই বেশি দামে আম বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (২৯ জুন) বাসাবো মাদারটেক বাজারের বিভিন্ন আমের দোকান ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে আম্রপালি জাতের আমের। সবচেয়ে দামি আম হলেও আম্রপালির চাহিদা শীর্ষে। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আম্রপালি জাতের আম ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আম্রপালির ছোট সাইজের আম ক্ষেত্রবিশেষে ১১০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মান ও সাইজভেদে প্রতিকেজি ফজলি আম ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া জাতের আমও সাইজ এবং মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লক্ষণভোগ জাতের আম ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রত্না জাতের আম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি আমের বাজার প্রায় শেষ হলেও কিছু কিছু দোকানে এ আম এখনও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি হিমসাগর আম মানভেদে এখনও ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বাজারে প্রায় সব ধরনের আম আসলেও কোনও জাতের আমই ১০০ টাকা কেজির নিচে বিক্রি হচ্ছে না। দেশীয় বাজারে আমের এই ঊর্ধমূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি আমের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান করেন তারা।
বাজারে আম কিনতে আসা বশির মিয়ার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, সব জাতের আমই বাজারে এখন আসছে। কিন্তু মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তো কেউ কিনতে পারছে না। এই আমার কথাই ধরুন, আমি যেখানে পাঁচ কেজি আম না কিনলে আমার পরিবারের হয় না, সেখানে আমাকে দুই কেজি কিনতে হচ্ছে। মানে আমার চাহিদার অর্ধেকও পূরণ হচ্ছে না। আমের দাম যদি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির মধ্যে রাখা যেতো তাহলে আর এই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়হীনতাটা হতো না।
মিয়াজি আব্দুল ওয়াদুদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুতে যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে আর কিছুই খাওয়া যাবে না। আমাদের দেশের আম আমরাই কিনে খেতে হিমশিম খাই। অদূর ভবিষ্যতে ইলিশের মতো আমও দুর্লভ হয়ে যায় কি না ভেবে দেখার সময় এসেছে। এক কেজি আমের যদি এতো দাম হয় তাহলে মানুষ কিনবে কীভাবে।
বাজারে আম বিক্রেতা রাব্বি ইসলাম বলেন, আমরা যে দামে আম কিনে আনি তার চেয়ে অল্প কিছু বেশি লাভ করেই বিক্রি করে দেই। এই আমের কিছু নষ্ট হয় তাতে লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। আমাদের হাতে তো দাম বাড়ানো বা কমানোর কিছু নেই।
সিদ্দিক মিয়া নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আম তো আমাদেরই দেশের ফল। এরপরেও বাজারে গতবারের তুলনায় দামটা একটু বেশি। তবে দাম বেশি হলেও ক্রেতার অভাব নেই। আম্রপালির চাহিদা প্রচুর। এর আগে হিমসাগরের চাহিদাও অনেক ছিল।
এমএম/পিএইচ