জুনে আরও ৫৩ হাজার গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে উপহারের ঘর
আগামী জুন মাসে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। সোমবার (৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চলমান গৃহনির্মাণ কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে প্রায় ৭০ হাজার গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে মোট ৫৩ হাজার ৪৩৪টি ঘর নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সাত হাজার ২৮০টি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুই হাজার ৫১২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ হাজার ৫৬২টি, রংপুর বিভাগে ১২ হাজার ৩৯১টি, রাজশাহী বিভাগে সাত হাজার ১৭২টি, খুলনা বিভাগে তিন হাজার ৯১১টি, বরিশাল বিভাগে সাত হাজার ৬২৭টি এবং সিলেট বিভাগে এক হাজার ৯৭৯টি ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
ওই পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন।
আগামী বছর সরকার গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে এক লাখ ২৫ হাজার পাকা ঘর বিতরণ করবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের ঘরগুলো নির্মাণের পাশাপাশি আগামী বছর যে এক লাখ ২৫ হাজার ঘর দেবে সরকার, সেগুলো নির্মাণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের
সভায় সকল বিভাগীয় কমিশনার, উপ-কমিশনার (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কোনো রকম ব্যত্যয় ছাড়া গুণগত মান ঠিক রাখার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া আগামী বছর সরকার গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে এক লাখ ২৫ হাজার আধা পাকা ঘর বিতরণ করবে। বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের ঘরগুলো নির্মাণের পাশাপাশি আগামী বছর যে এক লাখ ২৫ হাজার ঘর দেবে সরকার, সেগুলো নির্মাণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।
ঘরগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, গুণগত মানের বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। যদি কোনো ব্যত্যয় পাওয়া যায় আমরা জিরো টলারেন্স দেখাব। কোনো ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। বিষয়টি হালকাভাবে নেবেন না। আমরা কাউকে এমন উদ্যোগের সুনাম নষ্ট হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার এ কর্মসূচি পৃথিবীতে বিরল। অসহায় মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। তিনি প্রতিনিয়ত এর খোঁজখবর নিচ্ছেন।
সভায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপকারভোগীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে বলেন মুখ্য সচিব। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বর্তমান নির্মাণ কাজের পাশাপাশি আগামী বছর সরকার যে এক লাখ ২৫ হাজার ঘর দেবে তার কাজ এগিয়ে রাখতে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলেন।
কাজে কোনো অসঙ্গতি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৫৩ হাজার ৪৩৪টি আধা পাকা ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হবে।
এইউএ/এমএআর/