৪ ট্রেন থেকে এস এ কর্পোরেশনের ক্যাটারিং সার্ভিস স্থগিত
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেসের মোট ৪টি ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের দায়িত্বতে থাকা এস এ কর্পোরেশনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ রেলওয়ের এ্যাসিস্ট্যান্ট চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (আর-পূর্ব) মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনাপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এস এ কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ শাহ আলমের উদ্দেশে দেওয়া সেই নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে,‘গত ২৫ জুন দিবাগত রাত ১০টায় সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪) ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদানের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী শরিফ গং কর্তৃক একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে।’
‘এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০) ও উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪) ট্রেনে আপনার প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় অনুমোদন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। ভোরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছে আজ সকাল আটটায়।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি সিলেট থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন।
ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তার বাড়ি বান্দরবানে। বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন তিনি।
এস এ কর্পোরেশনের যে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা হলো মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)। এই ৩ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
এমএইচএন/এসএমডব্লিউ