বেনজীরের সাভানা রিসোর্ট থেকে ৫ দিনে আয় সোয়া ৩ লাখ টাকা
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন আলোচিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক খুলে দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে টিকিট বিক্রি করে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছে দুদকের নিয়োগ করা রিসিভাররা।
আদালতের নির্দেশে এ রিসিভার নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ করার পর গত ১৫ জুন সাভানা পার্ক জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করে দর্শনার্থীরা পার্কটিতে ভিড় জমান।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুদকের গোপালগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও পার্কের তদারকি কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
তিনি জানান, ৫ দিনে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ ও রাইড ফি বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫ টাকা, কাশফুল বিক্রি বাবদ আয় ২০ হাজার টাকা এবং আম বিক্রি করে আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ২১৬ টাকা। মোট আয় হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা। আয় হওয়া টাকা তদারকি কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় যে হিসাব খোলা হয়েছে সেই হিসাবে জমা করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, গত পাঁচ দিনে কয়েক লাখ দর্শনার্থী পার্কটি পরিদর্শন করেন। সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের বিষয়টি সামনে আসার কারণে এই পার্কের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখা গেছে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাভানা পার্ক তদারকি কমিটি ও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় গত ১৪ জুন সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ওইদিন সকাল থেকে আগের মতো ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা।
১৩ জুন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির জন্য জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠন করে দুদক।
এদিকে বেনজীর আহমেদকে ২৩ জুন এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ২৪ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। যদিও প্রথম দফায় তলবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন তারা।
গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
আরএম/এসকেডি