সিন্ডিকেট করে পশুর চামড়া কেনাবেচা, চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা
পশুর চামড়া কেনাবেচা, চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিপণন, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তায় পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। চামড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার (১৫ জুন) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, চামড়া কেনাবেচায় যাতে কেউ সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে চাঁদাবাজি বা কেউ প্রভাব বিস্তার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, গাবতলী ও অন্যান্য এলাকার ব্রিজের ওপর বা রাস্তার ওপর চামড়া বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। লবণের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন
সমন্বয় সভা শেষে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পরিবার-প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর ঢাকা থেকে প্রায় এক কোটি মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। সেই সময়ে বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ফাঁকা থাকে। প্রতি বছরই পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়। এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেকপোস্ট, টহল, ফুট প্যাট্রল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি বাসাবাড়িতে এক বা দুজন প্রহরী থাকেন, তারাও আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানির চামড়া পাচার বন্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাঁচা চামড়া পাচার রোধে ঢাকা থেকে বহির্গমন পথগুলোতে চেকপোস্ট ও পুলিশের টহল বসানো হবে। শুধু গাবতলী হয়ে চামড়ার গাড়িগুলো হেমায়েতপুর পর্যন্ত যেতে পারবে। এছাড়াও সব জেলার চামড়া যাতে সীমানা দিয়ে বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/এসএসএইচ