নিজ আসনেই যেতে পারছিলেন না ‘একতা’র যাত্রীরা
পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেনটি প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিটি কোচ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় ট্রেনের দরজার মধ্যেও ‘বাদুড়ঝোলা’ হয়ে ছিলেন অনেকে। এ অবস্থায় নিজ আসনেই যেতে পারছিলেন না অনেক যাত্রী।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) পঞ্চগড় থেকে এসে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের তিন নাম্বার প্ল্যাটফর্মে এসে থামে। থামার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ট্রেনের সবকটি কোচ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। দশটার মধ্যে ভিড় দরজা পর্যন্ত চলে আসে। এরপর ভেতরে ঢোকার মত আর কোন জায়গা ছিল না। কার সিটে কে বসেছেন তারও হিসেব নেই—এমন অবস্থা।
আরও পড়ুন
দশটা পাঁচ মিনিটের দিকে পরিবারের তিনজন সদস্যসহ ট্রেনে উঠতে আসেন আইমান নামে এক যাত্রী। তার আসন ওই ট্রেনের ‘ড’ বগির ১৪ ও ২৪ নম্বর সিট। কিছু লোকজন দরজায় বসে থাকায় তিনি কোনভাবেই ট্রেনে উঠতে পারছিলেন না। এমন অবস্থায় কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা নিজেদের আসনে যান।
শুধু আইমানই নন, আরো অনেকেই আছেন যারা নিজের আসন পর্যন্ত যেতে অনেকটা হিমশিম খেয়েছেন। ট্রেনে ওঠার জন্য রীতিমত বাকবিতণ্ডও করেছেন অনেকে। আবার অনেকে ট্রেনে চড়েছেন জানালা দিয়ে। যে যেভাবে পেরেছেন ট্রেনে উঠেছেন।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, এমন অবস্থা শুধু উত্তরের ট্রেনগুলোতেই। ওই দিকের দূরত্ব বেশি হওয়ায় এবং ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় নিরাপদ বাহন হিসেবে তাদের কাছে ট্রেন একমাত্র ভরসা। তাই চাপও বেশি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে তথ্যমতে ঢাকা-পঞ্চগড় রেলপথের দূরত্ব ৬৩৯ কিলোমিটার। এটিই দেশের সবচেয়ে দূরত্বের ট্রেন সার্ভিস।
সর্বশেষ ১০টা ১৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়ের ট্রেনটি ঢাকা স্টেশন ছেড়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
/এমএইচএন/এমএসএ