বেশি বিমান ভাড়ার কারণে হজে খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে না : হাব
বেশি বিমান ভাড়ার কারণে হজে খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছে এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের প্লেন ভাড়া ঠিক করলে ভাড়া কমে আসতো। আগামীতে স্বতন্ত্র কমিটির মাধ্যমে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি।
সোমবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হাব। সেখানে এ দাবি জানান তিনি।
বিমান ভাড়া বেশির ব্যাখ্যা করে হাব সভাপতি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস হজযাত্রী পরিবহন করে। কিন্তু হজযাত্রী পরিবহন ভাড়া আশপাশের দেশ থেকে অনেক বেশি। এ ভাড়া কমানোর জন্য এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটি করা জরুরি। এতে হজযাত্রীদের ওপর চাপ কমবে। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি। আগামীতে এই দাবির প্রতি সরকার নজর দেবে এমন প্রত্যাশা করি।
হাব সভাপতি বলেন, হজ এজেন্সির লাইসেন্স দিয়ে থাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই লাইন্সেস প্রদানের ক্ষেত্রে হাবের কোনো ভূমিকা থাকে না। মন্ত্রণালয় যাকে লাইসেন্স দেয় হাব সেই লাইসেন্সধারী এজেন্সিকে সদস্য করতে বাধ্য।
তাই নতুন লাইসেন্স প্রদান ও মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হাবের মতামত নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার হজযাত্রা সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, চলতি বছর কিছু ব্যাংক হাজীদের বিমান ভাড়ার টাকা পে অর্ডার করতে সমস্যা করেছে।
এ অবস্থায় হজযাত্রীদের সরাসরি এজেন্সির ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে মানি রশিদ সংরক্ষণ এবং প্যাকেজের সুবিধাদি লিখিত চুক্তি করা, ফ্লাইট শিডিউল নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের সঙ্গে আলোচনা করার সুপারিশ করেন তিনি।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজারের বেশি হজযাত্রী হজ করত যাচ্ছেন। এ বছর ২৫৯টি হজ এজেন্সি অপারেটিং হজ এজেন্সির দায়িত্ব পালন করছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য কোরবানি ছাড়া সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য জনপ্রতি মোট ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা।
তিনি বলেন, এবার হজযাত্রা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করেছে হাব। কোন তারিখে কতজন গেলেন, কতজন টিকিট কেটেছেন, কতজনের ভিসা হয়েছে বা হয়নি এগুলো তদারকি করেছি। এখন একইভাবে সৌদি আরবে হাবের মনিটরিং টিম কাজ করছে। হাজিদের তারা সেবা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ সার্ভিসের আওতায় এ বছর হজযাত্রীদের কষ্ট লাঘবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গমন করা সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হওয়ায় অনেক কষ্ট লাঘব হয়েছে। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ কার্যকর হওয়ার পর থেকে হজ ব্যবস্থাপনার উন্নতি হয়েছে।
এ বছর ভিসা ও টিকিট ইস্যুর অনিশ্চয়তা ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায়, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হাবের যৌথ প্রচেষ্টায় নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রায় সব ভিসা ও টিকিট ইস্যু সম্ভব হয়েছে। সামান্য কিছু হজযাত্রী প্রতিবছরই অসুস্থতা, মৃত্যুজনিত কারণ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় গমন বাতিল করেন। সব মিলিয়ে এবার হজ যাত্রা সুষ্ঠু হয়েছে।
এনএম/এমএসএ