৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি ঢামেক থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক
পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত মঙ্গলবার (৪জুন) ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরি হওয়ার অভিযোগ পাই। দ্রুতই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। পরে নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ওই নবজাতককে উদ্ধার করতে পারিনি। বিভিন্ন সোর্স ও প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা ওই নবজাতককে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের মা সুখী আক্তার বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে আমার দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে একটি নবজাতক চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ প্রশাসন আমার ওই নবজাতককে উদ্ধার করতে পারেনি। আমি বর্তমানে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন আছি। আমার অন্য শিশুটি এখন ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, আমার দুটি যমজ শিশুর মধ্যে একটির ওজন ছিল ১ কেজি ৬ গ্রাম ও আরেকটির ওজন ছিল এক কেজি ৫০০ গ্রাম। যেকোনো অবস্থায় আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই আমি।
আরও পড়ুন
এদিকে নবজাতক চুরির ঘটনায় বুধবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায়, হলুদ রঙের ওড়না ও কালো রঙের বোরকা পরা এক নারী ওই নবজাতককে কোলে করে নিয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পালিয়ে যান।
নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে সাভারের কালামপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আমার স্ত্রী যমজ দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। আমার বড় ছেলের জ্বর আসে এবং পাশে থাকা এক নারী বলেন, আমার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে আপনি বড় বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন। পরে আমি এক পাতা নাপা নিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি। আমার মাকে জিজ্ঞেস করি বাচ্চা কোথায়? পরে দেখি যে নারীর কাছে আমি বাচ্চা দিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম সেই নারী আর নেই।
এসএএ/এসকেডি