স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। ওয়্যার হাউজ, চিলিং চেম্বার এবং যানবাহনসহ ডাকঘরের অব্যবহৃত বিশাল অবকাঠামোর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ডাকঘরের অব্যাহত লোকসান কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি জনগণের জন্য স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীতে ডাক ভবন মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত ‘দেশের ডাকঘরগুলোতে চিলিং চেম্বার কার্যকর ও ডাক সেবা সম্প্রসারণে বেসরকারি অংশীদারিত্ব : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট পোস্ট অফিস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবল মেইল ডেলিভারি নয়, ডাকঘরকে সার্ভিস ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের কাজ আমরা শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে এবং আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ইতোমধ্যে ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের যাত্রা আমরা গত ২০ মার্চ থেকে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন
ডাক অধিদপ্তরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পারুল বেগম নামের একজন গ্রাহকের ভোগান্তির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে পলক বলেন, গ্রাহকের সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতারণা বরদাশত করা হবে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যেকোনো মূল্যে ডাকঘরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ডাকঘরের বিদ্যমান সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডাকঘরের আয় বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে করণীয় নির্ধারণের নির্দেশ দেন। সে লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পলক বলেন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড ও প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডাকঘরকে সময়োপযোগী সেবা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. মহিউদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইদা আফরোজ, কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ই-ক্যাব পরিচালক আবদুল ওয়াহেদ তমাল, বাংলাদেশ অনবোর্ড কুরিয়ার সংগঠনের সভাপতি এম আকতারুজ্জান এবং ই-ক্যাব কুরিয়ার সার্ভিস, ফসল, রকমারিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।
এসএসএইচ