আজও আড়ং আউটলেটের সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন
আসন্ন রোজার ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট অবস্থা রাজধানীর বিপণীবিতান, শপিংমল ও মার্কেটগুলোর। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও স্বাস্থ্য ও সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীবাসী। কেনাকাটা করতে আসা মানুষের বেশি চাপ থাকায় শপিংমলে প্রবেশ করতে ক্রেতারা দাঁড়াচ্ছেন দীর্ঘ লাইনেও।
শনিবার (১ মে) দুপুর একটার দিকে এমন দৃশ্যের দেখা মিললো রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি আড়ং আউটলেটের সামনে। শুক্রবার ছুটির দিনেও একই অবস্থা ছিল এই আউটলেটটির সামনে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সায়েন্স ল্যাবরেটরির আড়ং আউটলেটে প্রবেশের জন্য গেট থেকে শুরু করে বাইরের ফাঁকা জায়গা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান রয়েছেন শ' খানেক মানুষ। গেটে দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তাকর্মীরা থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ার পর আউটলেটে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। আর একাধিক কর্মচারী লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে অনুরোধ করছেন। রোদের তাপ বেশি থাকায় বাইরে লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের আউটলেট থেকে ছাতা সরবরাহ করতেও দেখা যায়। সবার মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টি ছিল অনেকটাই উপেক্ষিত।
দায়িত্ব পালনরত এক কর্মচারী বললেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে আমরা অনুরোধ করছি। মূলত গেটে তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং জীবাণুনাশক দেওয়ার কারণেই একটু সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
তবে অনেক ক্রেতারাই বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে এলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এত মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
আজিমপুর থেকে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী হাবিবা জেসমিন বলেন, এতটা ভিড় হবে তা জানতাম না। মূলত ভীড় এড়ানোর জন্যই শনিবার দিন এসেছি। আজও দেখছি অনেক ভিড়। যত দ্রুত সম্ভব কেনাকাটা করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান সিকদার বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকদিন পর গ্রামের বাড়িতে যাব। তাই বাবার জন্য পাঞ্জাবি, ফতুয়া এবং বোনের জন্য শাড়ি নিতে এসেছি। আসলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তো আছেই তারপরও পরিবার-পরিজন খুশি মুখ দেখাতেই আনন্দ রয়েছে, আর সবকিছুই তো চলছে কোথাও তো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
তবে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন আড়ং এর
কর্মকর্তা নিশাত তাসনিম সিনথিয়া। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আউটলেটের ভেতরে যেন ক্রেতাদের অতিরিক্ত উপস্থিতি না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। পাশাপাশি সবাই যেন ফেসমাস্ক, স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করে সেটিও নিশ্চিত করছি।
আরএইচটি/এসএম