‘সড়কে পড়ে ছিল নারীর লাশ’ : থানায় অভিযোগ গ্রহণের নির্দেশ
‘সড়কে পড়ে ছিল নারীর লাশ, পাশে দুই বছরের শিশু’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রকাশিত প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসার পর স্বপ্রণোদিত অভিযোগ গ্রহণ করে কমিশন।
প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নেত্রকোণার পূর্বধলায় গ্রামীণ সড়কে পড়ে ছিল অজ্ঞাত নারীর (৩০) লাশ। কোলে ছিল দুই বছরের আহত এক শিশু। শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের কাছিয়াকান্দা গ্রামের কাঁচা সড়ক থেকে বুধবার (২৯ মে) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের নামপরিচয় শনাক্তে কাজ শুরু করেছে পিবিআই।
প্রতিবেদনে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীরের বরাতে বলা হয়েছে, লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- অজ্ঞাতপরিচয় নারী শ্রমিক হয়ে থাকতে পারেন। হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট কিছুটা অপরিচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। অন্যত্র খুন করে হয়তো এখানে লাশ ফেলে গেছে। শিশুটির বয়স আড়াই বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটিকে স্থানীয় মেম্বরের সহায়তায় পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরিচয় শনাক্তের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো মামলা দায়েরও হয়নি। তবে ভুক্তভোগীর পাশে পাওয়া আহত আনুমানিক আড়াই বছর বয়সী শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক স্বপ্রণোদিত অভিযোগটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগে ভুক্তভোগী নারীর নামপরিচয় দ্রুত শনাক্ত করে অভিযোগের বিষয়ে মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য নেত্রকোণার পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগে বর্ণিত শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা ও তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
জেইউ/এসএম