কমছে রেমালের প্রভাব, সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীতে
দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কমতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীতে, যা ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। তবে ঢাকায় গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৯ কিলোমিটার।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব অনেকটাই কমে এসেছে। ধীরে ধীরে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে লঘুচাপ হয়ে গুরুত্বহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ আমরা রেকর্ড করেছি পটুয়াখালীতে, যা ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১১ কিলোমিটার। আর ঢাকায় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে প্রতি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার গতিবেগ আমরা রেকর্ড করেছি।
আব্দুর রহমান বলেন, রেমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত আমরা দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি চট্টগ্রামে ২৪০ মিলিমিটার। সেইসঙ্গে ঢাকায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি। তাছাড়া দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের রেকর্ড আমাদের রয়েছে। আজ রাত ও আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
রেমাল স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এলে দেশে তাপমাত্রা বাড়বে কি না– জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের তাপমাত্রা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। আগামীকাল দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও কমে যেতে থাকবে। যখন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যাবে, তখন দেশের তাপমাত্রাও আবার বাড়তে শুরু করবে। যদিও হঠাৎ করে তাপমাত্রা তাপপ্রবাহের মধ্যে চলে আসবে না। তবে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
সতর্কতা সংকেত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে সকালে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ছিল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জন্য ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেত ছিল, সে সংকেতগুলো নামিয়ে তার পরিবর্তে আমরা তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছি।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) রাত থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আজ দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রেমালের প্রভাবে রাজধানীতে চব্বিশ ঘণ্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৪০ মিলি, কক্সবাজারে ১৩৯, পটুয়াখালীতে ১২১, খেপুপাড়ায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টিআই/এসএসএইচ