পারিবারিক সম্পদে বোনদের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর
পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনদের অধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি করা বণ্টননামার প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং (উদ্ভাবনী প্রদর্শনী ২০২৪) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সহকারী কমিশনারদের (এসিল্যান্ড) উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠপর্যায় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ১০টি ইনোভেশন উদ্যোগ প্রদর্শিত হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, দেশে বেশিরভাগ পারিবারিক বিরোধের কারণ হচ্ছে ভাই-বোনদের মধ্যে রেজিস্ট্রি করা বণ্টননামা ছাড়াই মৌখিকভাবে বা সাধারণ কাগজে লিখে আপসে সম্পত্তি বণ্টন করা। পরে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে আপস ভেঙে গিয়ে কলহ শুরু হয়।
তিনি বলেন, খতিয়ানে ভিন্ন ভিন্ন মালিকানাভিত্তিক দাগ উল্লেখ থাকলে অনেকাংশে বিরোধ এড়ানো সম্ভব।
এসময় এসিল্যান্ডদের মাঠপর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার ‘কি-পারসন’ উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এ ব্যাপারে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে এবং প্রয়োজনে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, সরকারি জমি রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের ন্যায্য জমির মালিকানাও রক্ষা করতে হবে। মিথ্যা মামলার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আজকের স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিগত দিনের উদ্ভাবনী উদ্যোগের ফলে। আগামীতে আরও অগ্রগতি আমরা লাভ করব বর্তমানের উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য। ভূমিসহ অন্যান্য সেক্টরে কার্যকরী উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
এসএইচআর/এমএ