‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা স্মার্ট কার্ড পেলেন মুক্তিযোদ্ধারা
‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়েছেন ১০৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মমন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী।
এসময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য অসীম। সংগ্রামের মাধ্যমেই একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ ত্যাগ বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। নির্বাচনের মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়নে বিশ্বের দরবারে যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের ঝান্ডা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সঞ্চারিত করতে হয়। এই কার্ডকে হারাবেন না, এটা বীরত্বের একটি স্মারক। হয়তো আপনি থাকবেন না। আপনার কার্ডটা থেকে যাবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কথা বলতে পারাটা গৌরবের। আপনারা (মুক্তিযোদ্ধারা) জাতির সূর্য সন্তান। কারণ আপনারাই বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি দেশের অবস্থান করে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে না পারার দুঃখ আজীবন থাকবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আজ বক্তব্য দেবো না। শুধু অনুভূতিটুকু বলবো। আজ আপনাদের যে সম্মান দিতে পেরেছি তা অনেক কম। এই বিষয়টি সম্পর্কে গত কমিশন থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তারা আপত্তি দিয়ে এটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আপনারা যাদের সনদ দিয়েছে ন তাদের আমরা যদি জাতীয় পরিচয়পত্রে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় না দিতে পারি তাহলে এটা অগৌরবের। অবশেষে তারা বুঝতে পারায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে রাখার জন্য বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অনেক কাজ করেছেন। এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দিয়েছে। তারা শুধু সম্মানটুকু পেতে চায়। এইটাই তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) দাবি বেশি না।
এসময় ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মঞ্চ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য অতিথিরা।
আরএইচটি/এসএম