১৫৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
একদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। সারাদেশের ১৫৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট ১ হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে রোববার (১৯ মে) মধ্যরাত ১২টায়। এই সময়ের পর কোনো প্রার্থী নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা, মিছিল, গণসংযোগসহ অন্যান্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম করতে পারবেন না।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট ১ হাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রচার শেষ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২১ মে সকাল ৮টায়। তার ৩২ ঘণ্টা আগে বলতে রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সময় বোঝায়। আবার একই সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য নির্বাচন ঘিরে এসব এলাকায় নিষেধ থাকবে মোটরসাইকেলের চলাচল।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য মাঠে অবস্থান নিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থায় নিয়ে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১০টি জেলার ১৭টি উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে ইলেকশন কমিশন (ইসি)।
এলাকাগুলো হচ্ছে-- ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এসব এলাকায় র্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছে ইউনিয়ন প্রতি একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
আবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের চেয়েও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচন হবে ২৯ মে এবং ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন।
আরএইচটি/জেডএস