একবছরে ভোক্তার অভিযানে পৌনে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা আদায়
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ এবং অধিকার নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারাদেশে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর আওতায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তার অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধ করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে।
আরও পড়ুন
গত এক বছরে কতটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে (১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) ১১ হাজার ৬৭০টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধে ২৫ হাজার ৬৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ (আঠার কোটি পঁচাশি লাখ আশি হাজার আটশত) টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহে চায়ের আবাদ সম্প্রসারণ করা হবে
অপরদিকে নেত্রকোণা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী তার নির্বাচনী এলাকার পাহাড় টিলাগুলোতে চা চাষের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না— জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় চা আবাদ সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড উদ্যোগ নিয়েছে। নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও টাংগাইল জেলায় চা আবাদ সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর এলাকাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে চা আবাদ সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চা শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে ১৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত কর্ম-পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প’ প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অনুমোদন প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরএইচটি/এমজে