রাতের মধ্যে কালবৈশাখী-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
দেশের পশ্চিমাঞ্চলসহ ২৭ জেলা কালবৈশাখী, বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
সোমবার (৬ মে) দুপুরের পর থেকে রাতের মধ্যে এই ২৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।
সোমবার (০৬ মে) বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের প্রধান গবেষক খালিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আজকে (৬ মে) রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, গোপালগঞ্জ, যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থানভেদে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে কালবৈশাখীসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত যেকোনো সময়ে এসব জেলাগুলোতে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা নিয়ে আবহাওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজকেও রাজশাহী, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বিডব্লিউওটির তথ্যানুযায়ী, গত ৫ মে দেশের ভেতর বৃষ্টিবলয় প্রবেশ করেছে। যা আগামী ১৫ অথবা ১৬ মে পর্যন্ত থাকতে পারে। এই বৃষ্টিবলয়ের কারণেই তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র বজ্রপাতের শঙ্কা রয়েছে। এই ঝড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হতে পারে বলে জানায় বিডব্লিউওটি।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বার্তা
জমির কাজে দুপুরের আগে আগে করে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। যদি উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিম দিকে কালো মেঘ করে তাহলে দ্রুত নিরাপদে আধাঘণ্টা আগে আশ্রয়স্থলে চলে যেতে হবে, জমিতে যারা কাজ করবেন তাদের জন্য এ বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঝড়ের কবলে পড়লে গাছের নিচে দাঁড়ানো যাবে না বরং কাছাকাছি কোনো ঘরে অবস্থান করতে হবে। যদি আশেপাশে ঘরবাড়ি না থাকে তাহলে, পিচ রাস্তার ওপরে উঠতে হবে। যদি আশেপাশে পিচ রাস্তা না থাকে তাহলে, পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর করে, মাথা-পা কাছাকাছি এনে, অনেকটা ফুটবলের মত হয়ে অবস্থান করতে হবে। পিচ রাস্তা পেলেও এমনটা করতে হবে। কোনভাবেই পানিতে নামা যাবে না। গাড়িতে থাকলে গাড়িতে অবস্থান করতে হবে, তবে জানালা-দরজা বন্ধ রাখতে হবে। বজ্রঝড় সাধারণত ১০ থেকে ৩০ মিনিটের মতো স্থায়ী হয়। তাই এটুকু সময়ে সাবধানতার সঙ্গে থাকতে হবে। ঝড় থামার পর সম্ভব হলে ২০ মিনিট থেকে আধাঘণ্টা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন। কারণ এসময় বজ্রমেঘের প্রলম্বিত অংশ তথা এনভিল থেকেও বজ্রপাত হতে পারে। শুরুর দিকে ৩০ মিনিট আগে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর কারণও একই। শহরাঞ্চলে অনেকে বৃষ্টি দেখেই ভিজতে নামে, এটা করা যাবে না। বজ্রঝড়ের সময়ে ছাদে যাওয়া যাবে না।
এসআর/এসএম