আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী
আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিতু হালদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও স্বামীর অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রোববার ডিবি কার্যালয়ে মিতু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান।
তিনি বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তার অপরাধ কার্যক্রম সম্পর্কে আজ তার স্ত্রী মিতু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সবকিছু জেনেও পুলিশকে জানাননি তিনি। মিডিয়াকেও কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসবের সঙ্গে স্ত্রী মিতু হালদারের কোনো যোগসাজশ বা সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না— জানতে চাইলে হারুন বলেন, দিনের পর দিন রাতের পর রাত বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহের পর আর্তমানবতার তথাকথিত সেবার নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। রোগীদের দেখিয়ে টাকা আয় করেছেন, অথচ তাদের সেবাযত্ন করেননি। ডাক্তারের কাছে পাঠাননি। সেখানে তো স্ত্রী মিতু হালদার যেতেন। তিনি নিজেও তো নার্স। তাহলে স্বামীর অনিয়ম অপকর্ম জেনেও থানা পুলিশ বা কাউকে অবগত করেননি। প্রতিবাদ করেননি। স্বামীর অপকর্মের দায় তাই স্ত্রী হিসেবে মিতু হালদার এড়াতে পারেন না।
তবে তিনি দাবি করেছেন, ফাউন্ডেশনের নামে যেসব টাকা পয়সা এসেছে, একাউন্ট বা কোনো কিছুতে তার নাম (মিতু হালদার) নেই।
মিতু হালদার গ্রেপ্তার হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। মিল্টনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আবারো রিমান্ড চাইব। ৯০০ লোকের প্রাণ কীভাবে গেলো? হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। আবার ৯০০ লোকের প্রাণ যাওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেগুলো আদৌ সত্য কি না, সত্য হলে কি করেছেন? সব তদন্তে নিয়ে আসব। এই আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকালে ডিবি কার্যালয়ে আসেন স্ত্রী মিতু হালদার। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, সেখানকার বিভৎস্যজনক ছবি স্ত্রী মিতু হালদারকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।
জেইউ/এমজে