যানবাহনে স্টিকার দেখলেই আটকাচ্ছে পুলিশ
প্রাইভেটকার কিংবা মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে লাগানো বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার যাচাই করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। কেউ যেন ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা না নিতে পারেন এবং অপরাধীরা ছদ্মবেশ ধারণ না করতে পারে সে জন্য স্টিকার লাগানো গাড়ির বিষয়ে অভিযানে নেমেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইদানিং রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়িতে স্টিকার লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে ভুয়া স্টিকার লাগানোর প্রবণতাও দেখা গেছে। একজন ব্যক্তি নিজের প্রতিষ্ঠানের বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে এর আড়ালে ভিন্ন কোনও গোষ্ঠী বড় ধরনের অপরাধও করে থাকেন। এ অপরাধ দূর করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার পর ডিএমপির সকল ট্রাফিক বিভাগ একযোগে স্টিকার চেক করার বিষয়ে অভিযানে নেমেছে।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে শনিবার (৪ মে) ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি অপরাধীরা ভুয়া স্টিকার ব্যবহার করে থাকে। অপরাধীরা পুলিশ কিংবা সাংবাদিকসহ অন্যান্য দপ্তরের বা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে নিজের পরিচয় লুকিয়ে অপরাধ করে।
এছাড়া অনেকে আছেন যারা ভুয়া পরিচয় গাড়িতে লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নিতে চান। এসব বিষয় গত কয়েক মাসে আমাদের নজরে আসে। এরপর থেকে গাড়িতে লাগানো স্টিকার চেক করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা চেক করে দেখছেন গাড়িতে লাগানো স্টিকার এর সঙ্গে গাড়ির চালক কিংবা যাত্রীর পরিচয়পত্র মিল রয়েছে কি না।
তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষজনকে স্টিকার লাগানোর বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। যাতে করে কোনও অপরাধী বা কোনও ব্যক্তি ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে অপরাধ বা বাড়তি সুবিধা আদায় না করতে পারেন। এই অরাজকতা রোধ করার জন্যই আমাদের মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, কোনও ব্যক্তি যদি সেই পরিচয় বহন করেন বা তার পরিচয় বা কর্মস্থল সেটা হয়ে থাকে তিনি স্টিকার গাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি সেই পরিচয় বহন না করেন তাহলে তিনি স্টিকার লাগাতে পারবেন না এটা বেআইনি। কেউ যদি সেই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেই পেশার স্টিকার লাগাতে পারেন। তবে ইদানিং দেখা যাচ্ছে যেই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না সেই পেশার স্টিকার লাগিয়ে অনেকে বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র বহন করছেন এবং পুলিশ পোস্টে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের প্রতিহত করার জন্য স্টিকার চেক করা হচ্ছে।
এমএসি/এমএসএ