সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার : ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক এম এ কাউসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও তিনটি পোর্টালের ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ভুক্তভোগী কাউসার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন, দেশইনফো২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক অতুল দাস, সহ-সম্পাদক সাইদুল আরেফিন, বার্তা সম্পাদক সাঈফ আজমল, প্রতিবেদক ফাইজুল আলম সিরাজ, অপরাজিত বাংলা২৪.কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক সাইদুল ইসলাম সবুজ, সহ সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন ও বার্তা সম্পাদক তাজুল ইসলাম। মামলায় ‘হিউমিনিটি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর নামক একটি পোর্টালকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে কয়েকটি অনিবন্ধিত পোর্টালে সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯, ৩৩ ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট: ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলের পাঁয়তারা’ এবং ২ এপ্রিল 'ওসি-ডিসিকে নিয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গালাগাল' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জেরে রিপোর্টার এম এ কাউসারের ওপর ক্ষুব্ধ হয় চসিক নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং তার ছোট ভাই রাশেদ হায়দার সোহেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ‘হিউমিনিটি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সংশ্লিষ্টরা।
সেই চ্যানেলে সাংবাদিক কাউসারের ছবি ব্যবহার করে একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়। অডিওটি রাশেদ হায়দার সোহেল এবং মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কথোপকথন হলেও প্রচারিত রেকর্ডে সাংবাদিক কাউসারের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কাউসারের ফেসবুকে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচার এবং স্ত্রী- সন্তানের ছবি সংগ্রহ করে অপরাজিত বাংলা২৪.কম, দেশ ইনফো ২৪.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর.কম নামক পোর্টালে মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট, আপত্তিকর ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
এমআর/এসকেডি