বেগমগঞ্জের কূপে প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
দেশের গ্যাস সংকট মোকাবিলায় দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সময়কালের মধ্যে সরকার মোট ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) মাধ্যমে ৩টি কূপ খননের লক্ষ্যে ১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন ওয়াছেকপুরে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের খনন কাজ গতকাল সোমবার থেকে শুরু করা হয়েছে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
কূপটি বাপেক্সের সর্বাধুনিক রিগ বিজয়-১০ দ্বারা সম্পূর্ণ নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে খনন করা হবে। ভূতাত্ত্বিক থ্রিডি সাইসমিক জরিপ মোতাবেক মোট ৪টি জোনে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূপটি খনন শেষে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হলে দৈনিক ১০ এমএমসিএফ হারে গ্যাস উৎপাদিত হতে পারে।
খনন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (খনন), মহাব্যবস্থাপক(প্রকৌশল), মহাব্যবস্থাপক (ভূতাত্ত্বিক), প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ কূপে গ্যাস পাওয়া গেলেও তা উত্তোলিত হয়নি এবং ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ কূপ খনন করা হলে কূপটিতে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়নি। পরে ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেই কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও এ এলাকায় বেগমগঞ্জ-৫ ও ৬ নম্বর কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ওএফএ/এমএ