সরকারকে রাজস্ব দিতে প্রস্তুত ৪০ লাখ অটোরিকশা-ইজিবাইক
বাংলাদেশে অটোরিকশা-ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে চলছে এবং সরকার এর থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। রাজস্বের টাকাগুলো চাঁদাবাজির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। এ সমস্ত অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে সরকারকে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি অ্যান্ড মোটর চালিত অটোরিকশা-অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।
মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম এসব কথা বলেন।
মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, মন্ত্রণালয় অবৈধ অটোরিকশা-অটো বাইককে নীতিমালায় আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিবহন খাতকে জিম্মি করে ও বিআরটিএকে হাত করে প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একমাত্র লক্ষ্য সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করে সরকারকে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। কিন্তু আমরা দেখছি সেটির বিপরীত চিত্র।
তিনি আরও বলেন, আমার কোম্পানির লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে কাজ পরিচালনা করে সরকারের তিন সংস্থা এনবিআর, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক। এই তিন সংস্থাকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আনুমানিক ৮ হাজার কোটি টাকা ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ ট্যাক্স প্রদান করতে আগ্রহী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।
ওএফএ/এনএফ