গরমে তুঙ্গে স্যালাইনের চাহিদা
কয়েকদিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকের শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা। আর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে বেড়েছে স্যালাইনের চাহিদা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ধানমন্ডি এলাকার ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, গরমের তীব্রতা বাড়ার কারণে ওরস্যালাইনের বিক্রি বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই স্যালাইনের চাহিদা বাড়ে। তবে এবারের অত্যধিক গরমে সে চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।
কথা হয় শ্যামলী রোডে অবস্থিত বরিশাল ফার্মেসির কর্মচারী শাওন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গরম বাড়ার পর থেকে স্যালাইনের চাহিদা বাড়ছে, বিক্রিও বাড়ছে। স্যালাইন ছাড়াও গ্লুকোজ, নাপা, প্যারাসিটামল ইত্যাদি পণ্যেরও বিক্রি বেড়েছে। বেশি গরমে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, অনেকের ডায়রিয়া হয়, তাই চাহিদাটাও বৃদ্ধি পায়।
টাউন হল মার্কেটের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী নাজমুল চৌধুরী বলেন, স্যালাইনের বিক্রি আগের চাইতে বেড়ে গেছে। অন্য সময় দিনে হয়তো ২ থেকে ৪ প্যাকেট স্যালাইন বিক্রি করতাম, এখন ১০ থেকে ২০ প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। অনেকে আবার বক্সসহও কিনছেন।
অধিকাংশ ফার্মেসিতে এসএমসির ওরস্যালাইন ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির স্যালাইন তেমন একটা দেখা যায়নি। এসএমসি স্যালাইনের চাহিদা বেশি হওয়ায় ফার্মেসিগুলো অন্য কোম্পানির স্যালাইন রাখছে না।
প্রতি প্যাকেট এসএমসি ওরস্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকায় এবং একই কোম্পানির টেস্টি স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকায়।
নাজমুল চৌধুরী আরও বলেন, এসিআই কোম্পানি স্যালাইন বিক্রি করলেও তার চাহিদা নেই, তাই ফার্মেসিতে রাখা হয় না। আর ইউনিভার্সাল কোম্পানি টেস্টি স্যালাইনের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে সব কোম্পানির স্যালাইনের দাম একই।
কথা হয় ফার্মেসিতে আসা ক্রেতা মামুনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসায় দুটো বাচ্চা, দুজনেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে স্যালাইনও কিনে নিচ্ছি।
আদাবরের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, তাই ওষুধ ও স্যালাইন কিনছি। ফল মূলও কিনেছি, আপাতত কিছুদিন বাসায় রেস্ট নেব।
এদিকে চিকিৎসকরা এই গরমে স্যালাইনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, লেবুর শরবত, তরল ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর ও উন্মুক্ত খাবার ও পানীয় না খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
ওএফএ/এমএ