বেনাপোল স্থলবন্দরে ওজন কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি
আমদানি করা পণ্য ট্রাকসহ ওজন স্কেলে মাপার সময় ওজন কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুদকের যশোর অফিসের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ৬টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, বেনাপোল স্থলবন্দরের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আমদানি করা পণ্য ট্রাকসহ ওজন স্কেলে মাপার সময় ওজন কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপপরিচালকের (ট্রাফিক) বক্তব্য নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বন্দরের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং স্কেল পরিদর্শনে বিভিন্ন স্কেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য অনুযায়ী অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।
অপরদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে দুদকের রাজশাহী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে।
টিম রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়। পরে টিম নিরপেক্ষ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ দল সহকারে নির্মাণাধীন ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ভবনের পরিমাপ গ্রহণ ও ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায় টিম। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
আরএম/জেডএস