শ্রমবাজার ইস্যুতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বসতে চায় বাংলাদেশ
চলতি বছরের জুন থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া বন্ধ হবে। দেশটিতে পরবর্তীতে কীভাবে কর্মী পাঠানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বসতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে ইতোমধ্যে হাইকমিশনের মাধ্যমে কুয়ালালপুরকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অভিবাসন খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ ও বাংলা নববর্ষ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ৩১ মের মধ্যে আগের যত কর্মীর কোটা আছে তারা প্রবেশ করতে পারবে। এই শর্ত শুধু আমাদের জন্য না, ১৪টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া কর্মী নেয় সেসব দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ৩১ মের পর তারা তাদের ব্যবস্থাপনা রিভিউ করছে। আমাদের তরফ থেকে মালয়েশিয়ায় সবসময় যোগাযোগ আছে। আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের চিঠি পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন
রুহুল আমিন বলেন, আমাদের যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ আছে সেটির একটা সভা আমরা করতে চাই। তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা আমাদের বুঝার দরকার আছে। সেভাবেই আমাদের কার্যক্রম নিতে হবে। শ্রমবাজারের যেসব সমস্যা আছে তা নিরসনে পরবর্তী যে নীতিমালা তৈরি হবে সেখানে সেসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সেজন্য ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা করতে চাই। আগামী মে মাসের মধ্যে সভা করার প্রস্তাব জানিয়েছি। আমরা সভার এজেন্ডা ঠিক করছি।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, এ শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট নিয়ে কথা আছে। এগুলা নিয়ে আমরা নিয়মিত আলোচনা করছি। সব মিলিয়ে আমরা এজেন্ডা ঠিক করছি। আমরা মে মাসের মধ্যেই বসতে চাই। মালয়েশিয়ার সরকারের উপর নির্ভর করে কবে নাগাদ বৈঠক হতে পারে। চেষ্টা করছি যেন দ্রুত করতে পারি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে সচিব বলেন, আমরা হাইকমিশনের মাধ্যমে বিষয়টি রিভিউ করছি। এটি প্রক্রিয়াধীন। আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাব। তবে আমার কাছে যে আপডেট আছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, এখানে দুই ধরনের কর্মী আছে। একটি হচ্ছে যারা ডিমান্ডের বিপরীতে যাচ্ছে কিন্তু কাজ পাচ্ছে না, আরেকটি হচ্ছে ভিজিট ভিসায় গেছেন অথবা চুক্তি শেষ হওয়ার পর ওভারস্টে করছেন। এজন্য কখনো কখনো সংখ্যাটি বড় মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি , ডিমান্ডের বিপরীতে যারা গিয়েছেন কাজ পাননি এমন সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। কিন্তু যদি অন্যান্য ভিসায় গিয়ে কাজ পায়নি যারা তাদের হিসাব করলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। আমরা আশা করছি, ডিমান্ডের বিপরীতে যারা গেছেন কাজ পাননি, তাদের ৩১ মের পরেই কাজে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
এনআই/এসকেডি