ট্রানজিট হিসেবে ঢাকা থেকে যাত্রী যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে
ঈদুল ফিতরের ছুটির পর এখনও ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। তবে তাদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে নয়, বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে আবার ট্রেনে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। মূলত তারা ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে ও বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) । ওই ট্রেনের প্রতিটি কোচ ছিল যাত্রী বোঝাই। কেউ কেউ অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই ট্রেনের কোচে।
আরও পড়ুন
যাত্রী তামিম হোসেনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, আমি ভোরে খুলনা থেকে রওনা হয়ে ঢাকায় নেমেছি। আমি গাজীপুরের কোনাবাড়ী যাবো। খুলনা থেকে সরাসরি সেখানে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন এই ট্রেনে জয়দেবপুর স্টেশনে যাবো। টিকিট আগে থেকে কাটা ছিল।
ফেনীতে ব্যবসা করেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি পঞ্চগড়ে। তিনিও আজ একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী। সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ফেনীতে স্ক্যাব মেটেরিয়ালের ব্যবসা করি। ঈদের সময় মাত্রাতিরিক্ত বাসের ভাড়া নেওয়া এবং সেখান থেকে সরাসরি যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকার কারণে ঈদ আমার ফেনীতেই করতে হয়েছে। আমি গত রাতে বাসে রওনা হয়ে ঢাকায় এসেছি। আড়াই ঘণ্টা স্টেশনে বসে ছিলাম। এখন একতা এক্সপ্রেসে পঞ্চগড় যাচ্ছি। বাড়িতে মা, বোন এবং ছোট ভাই আছে।
পরে প্রায় ১৫ মিনিট বিলম্বে সকালে সাড়ে ১০টার দিকে একতা এক্সপ্রেস ৭ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যায়।
স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল জামালপুরের তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫)। ওই ট্রেনও প্রায় যাত্রীতে বোঝাই। একেকজন একেক গন্তব্যের।
তাদের একজন বাহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঢাকায় দোকান করি। ঈদে বাড়ি যাইনি। গতরাতেই একবারে ৫ দিনের জন্য দোকান বন্ধ করেছি। এখন বাড়ি যাচ্ছি। বাড়িতে বাবা-মা, ছেলে-ময়ে ও স্ত্রী আছে।
/এমএইচএন/এমএসএ