সড়কে শিথিল ‘মুভমেন্ট পাস’ চেকিং
করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউনের শুরুতে কঠোরভাবে সরকারি বিধিনিষেধের প্রয়োগ লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীতে। তবে বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট। রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সময়ও। এ অবস্থায় সড়কে মানুষের চলাচল বেড়েছে। এছাড়া চেক পোস্টগুলোতে আগের মতো চেক করা হচ্ছে না মুভেমন্ট পাসও।
অন্যদিকে রাজধানীর যেন ফিরেছে চিরচেনা রূপে। সড়কে চলছে প্রায় সব ধরনের যানবাহন, শুধু নেই বাসের মতো গণপরিবহন। তবে ২৮ এপ্রিল বিধিনিষেধের সময়সীমা শেষ হলেই ফের চালুর কথা রয়েছে নগরী ও দূরপাল্লার গণপরিবহন।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি স্থানে চেক পোস্ট পরিচালনা ও মুভমেন্ট পাস চেক করেছে র্যাব ও পুলিশ। তবে বিধিনিষেধের সময় বাড়ানোর সঙ্গে সড়কে যানবাহন বেড়েছে, শিথিল হয়েছে মুভমেন্ট পাস চেকিংও।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো চেক পোস্টেই নেই পুলিশ সদস্য। নেই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ চেক পোস্টও। সড়কে মার্কেটমুখী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি।
আসাদগেইট চেকপোস্টের পাশে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, ‘লকডাউন’ থাকলেও অনেক কিছুই শিথিল। মার্কেট খুলেছে। দোকানপাট বসছে। অফিসগামী মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। সড়কে যানবাহন বেড়েছে। শুধু বাকি বাস বা গণপরিবহন চলা। সেটা চালু হলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। মাঝে বিড়ম্বনায় পুলিশ। বেড়েছে গরমও। এই গরমে চেক পোস্ট পরিচালনা করা কঠিন। আবার সব যানবাহন দাঁড় করিয়ে মুভমেন্ট পাস চেক করাও কঠিন কাজ।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে চেক পোস্টের বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, গত চার-পাঁচ দিন ধরে এখানে চেক পোস্ট চলে সকালে। এরপর সেরকম আর হয় না। আগের মতো পরিস্থিতি নেই। যানবাহন বেড়েছে। বরং বলতে পারেন কখনও কখনও যানজটও হচ্ছে।
নিউমার্কেট ও এলিফেন্ট রোডের চেক পোস্টের কাঁটাতারের বেরিকেড লক্ষ্য করা গেলেও নেই পুলিশের উপস্থিতি।
জানতে চাইলে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাহেদ আল মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যেকারণে সব গাড়ি চেক করা, মুভমেন্ট পাস আছে কি না খোঁজাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার মুভমেন্ট পাস চেক করতে গিয়ে রমজান ও গরমে যাত্রীদের বিড়ম্বনাটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবার হাতে স্মার্টফোন বা ঘরে কম্পিউটার নেই। গরিব, বয়স্ক মানুষের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। তার মধ্যে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, মার্কেটও খুলেছে। এ অবস্থায় সব চেক পোস্ট পরিচালনা ও সব যানবাহন চেক করা কঠিন। সত্যিকার অর্থে যাদের প্রয়োজন তাদের আমরা মুভমেন্ট পাস চেকিংয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছি। তবে গাড়িতে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী, দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
জেইউ/এসএসএইচ