উপকূলীয় চরাঞ্চলের প্রকল্পে লুটপাট, আসামি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন খাতের প্রায় ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. নিতাই চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (৮ মার্চ) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. নিতাই চন্দ্র দাস দায়িত্ব পালনের সময় প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের প্রশিক্ষণের ক্লাস গ্রহণের নামে ৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং ১৫টি উপজেলা থেকে নিম্নমানের ট্রেনিং উপকরণ সামগ্রী ভুয়া ক্রয় ভাউচার দেখিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৮৯০ টাকা, নিম্নমানের মুরগি/হাঁস/ভেড়ার ঘর সরবরাহ করে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ টাকা এবং প্রকল্পের হিসাব রক্ষকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৭২১ টাকা উত্তোলণ করে আত্মসাৎ করেন। প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকা আত্মসাতের অভিযাগে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, আসামি ড. নিতাই চন্দ্র দাস প্রকল্প পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশিক্ষণের প্রতিটি ব্যাচের ২/৩টি ক্লাস গ্রহণ না করলেও মাস্টার রোলে তাকে ক্লাস গ্রহণ দেখিয়ে ১১টি উপজেলা থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য অপকর্ম করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
আরএম/জেডএস