বনশ্রী স্বপ্ন সুপার শপে দস্যুতার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
বনশ্রী স্বপ্ন সুপার শপে দস্যুতার ঘটনায় মালামাল উদ্ধারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির রামপুরা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রিপন খান ওরফে জাফর, সোহেল খান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জুয়েল ইসলাম। এছাড়া দস্যুতার মালামাল ক্রয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মো. তারেক হাসান ও মো. তালহা নামের আরও দুইজনকে।
শনিবার (৩০ মার্চ) রামপুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ গোলাম মাওলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৯ মার্চ দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে চারজন লোক বনশ্রীর বি ব্লকে স্বপ্ন সুপার শপে গার্ডদের গুরুতর আহত করে তালা কেটে বিদেশি ব্রান্ডের বিভিন্ন পারফিউম শ্যাম্পুসহ দুই বস্তা কসমেটিকস নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০ মার্চ থানায় একটি দস্যুতার মামলা রুজু হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই তার রামপুরার একটি টিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে রিপন খান ওরফে জাফর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে শুক্রবার (২৯ মার্চ) আশুলিয়ার বলিভদ্র বাসস্ট্যান্ডের আশা কসমেটিকস ও গোপালগঞ্জের একটি কসমেটিকসের দোকান থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরে শুক্রবার বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় তাদের দলের অন্য সদস্য সোহেল খান, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. জুয়েল ইসলামকে। আর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় স্বপ্ন সুপার শপে দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত পিকআপ, ১টি ধারালো চাপাতি, ১টি কাটার মেশিন ও ১টি লোহার রড।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রতিবার পিকআপের নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করে দস্যুতা বা ডাকাতি করতে যায়। তাদের সরদার রিপন খান ওরফে জাফরের নামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও বরিশালসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুনসহ ডাকাতি ও দস্যুতার ২২টি মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরদার রিপন খান ওরফে জাফরের নেতৃত্বে গ্রেপ্তাররা ডিএমপির কাফরুল, বাড্ডা, শেরে বাংলানগর থানাসহ ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী এবং নীলফামারী জেলা সৈয়দপুরে স্বপ্নের একাধিক সুপার শপে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
এমএসি/জেডএস