মধুর ক্যান্টিনের মধু দা পেলেন বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা
চার পর্বে মোট ৫৬০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। এ তালিকায় রাখা হয়েছে মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দের নাম।
বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় মধুসূদন দের বাবার নাম লেখা হয়েছে আদিত্য চন্দ্র দে, মায়ের নাম যোগমায়া দে। গ্রাম বা মহল্লা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা।
জানা যায়, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের মধুসূদন দের নাম। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের পরদিন সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন মধু দা, তার স্ত্রী, বড় ছেলে ও ছেলের নববিবাহিত স্ত্রী।
মধুসূদন দে কে বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, এ দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যত আন্দোলন হয়েছে, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন-প্রতিটি ক্ষেত্রে মধুসূদন দের ভূমিকা ছিল। তিনি সবাইকে সহযোগিতা করেছেন। তাই শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞায় না পড়লেও মধুদাকে বুদ্ধিজীবীর তালিকায় রেখেছে সরকার। পেশাগত পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমভাবে তাকে বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মধুদা একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন। তিনি সেই সময় বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। এই একজনকেই আমরা ব্যতিক্রমভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা দিয়েছি। তবে এই পরিবার কোনো ভাতা পাবে না।’
বর্তমানে মধুর ক্যানটিন পরিচালনা করছেন তার ছেলে অরুণ কুমার দে। বাবার স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগে বাবার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলাম। এখন এই খবর শুনে খুব ভালো লাগছে।’
পিএইচ