ঈদে কিছুদিন পরিবহনের টোল বন্ধ রাখার পরামর্শ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময়ে যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে কিছুদিন সেতুগুলোতে টোল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ঈদযাত্রায় সেতুগুলোতে গাড়ি থামিয়ে টোল আদায়ের কারণে ভয়াবহ যানজট দেখা যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে কিছুদিন এই টোল বন্ধ রাখলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে।
আরও পড়ুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা’য় তিনি এ কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, এবার ঈদে আশা করছি যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে। তবে, ভাড়া তৃতীয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারা সড়কের চাঁদাবাজিতে মিডিয়া (বন্দোবস্তকারী) হিসেবে কাজ করে। তাদের আয় পরিবহন মালিকদের থেকেও বেশি। তারা গাড়িগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা নেয়, তা একটি গাড়ির ভাড়ার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
তিনি বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারছি না। নির্দেশনা জারি করলেও শতভাগ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এটা সেতুমন্ত্রীকে দেখার অনুরোধ করছি।
ট্রাকের ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, ট্রাক ভাড়া নির্ধারণ কেন করা যাবে না? যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারলে সেটিও সম্ভব। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। মন্ত্রীকে অনুরোধ করব, যেন এ বিষয়টি দেখেন। তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। আমরা প্রতি ঈদেই দেখি সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু লাখ লাখ মোটরসাইকেল ঈদে ঢাকার বাইরে যায়। সড়ক বন্ধ করে দিলে তারা ফেরিতে যাবে। তাদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা দেখি প্রতি ঈদেই বেতন-বোনাসের জন্য গার্মেন্টস কর্মীরা আন্দোলন করে। গার্মেন্টসগুলোকে অনুরোধ করব, সবাই যেন শ্রমিকদের পাওনাটা দিয়ে দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, পুলিশের আইজিপিসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
টিআই/কেএ