সড়কে ইফতার-সেহরি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ আইজিপির
ঈদযাত্রায় সড়কে গাড়ি থামিয়ে ইফতার-সেহরি নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেছেন, সড়কে যানজটের অন্যতম একটি বড় কারণ হলো গাড়ি থামিয়ে ইফতার ও সেহরি করা। এবার ঈদে যানজট নিরসনে এই গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনোভাবেই সড়কে গাড়ি থামানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানী বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
আইজিপি বলেন, আমরা দেখি প্রতি ঈদেই ইফতারের সময় সড়কে গাড়ি থামানো হয়, সেহরির সময় গাড়ি থামানো হয়। তখন যানজট তৈরি হয়। যাত্রীরাও খাবার আনতে নেমে যায়। এজন্য দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। অনেক সময় এই সুযোগে চালকরা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গাড়ি ছাড়তে হয়।
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সব সময়ই ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর সংখ্যক গাড়ি ঢাকায় আসে, যা চেক করার মতো অবস্থা থাকে না। দেখা গেল যে, গাড়ি চেক করতে গিয়েই সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। তাই পরিবহন মালিক সমিতিকে বলবো, আপনারা যদি আগেই আমাদের জানান এবং শনাক্ত করে দেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ঈদে পোশাক শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ১১ তারিখ ঈদ হলে ১০ তারিখ বিকেলেই শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পড়ে ঈদযাত্রায়। তখন যে সড়কে কী অবস্থা হয়, সেটা না দেখলে বোঝা কঠিন। তারা ঈদের পর ছুটিটা বেশি চায়। এবার ঈদেও তাদের ছুটিটা বাড়ানো যায় কিনা একটু দেখবেন।
আইজিপি আরও বলেন, চন্দ্রায় আমরা যানজট নিরসনে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। সেখানে ওভারপাস করা হয়েছে, মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো। তবে ঈদে কিছু যানজট হবেই, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, উত্তরবঙ্গের রাস্তা ঠিক মানেই ঈদযাত্রায় আর কোনো সমস্যা নেই। তাই উত্তরবঙ্গ এবং গাজীপুর সড়কে আমাদের নজর রাখতে হবে।
টিআই/জেডএস