বাবার মৃত্যুর ৪ মাসের মাথায় ছেলেকে পিষে মারল বাস, দিশেহারা পরিবার
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় আরাফাতুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পটিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় পথচারীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আশিক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত আরাফাতুর রহমান পটিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাগজী পাড়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের বড় ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। গত চার মাস আগে তার বাবা মারা যান। আরাফাতুর রহমানের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জুমার নামাজের পর আমজুর হাট এলাকায় থেকে নিজ বাড়ির দিকে আসার পথে একটি যাত্রীবাহী মিনি বাস তাকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় গুরুতর আহত হন তিনি।
নিহত আরাফাতুর রহমানের বড় চাচা আবুল খায়ের বলেন, আমার ভাতিজা আমজুর হাট থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে আসার সময় দ্রুতগামী একটি মিনি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় তার মাথায় গুরতর আঘাত পায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। চার মাস আগে তার বাবা মারা যায়। পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে পরিবারটি এখন দিশেহারা।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী আরাফাতুর রহমানকে স্হানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, নিহতের ফুপাতো ভাই ইদ্রিস আমাদের একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সড়ক আইনে মামলা দায়েরের জন্য প্রস্ততি নিয়েছি। তবে লাশটি এখনো চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানকার আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
আরএম/কেএ