কেন পালিত হয় বিশ্ব ঘুম দিবস, জানুন ইতিহাস
ঘুমকে মোটেও তুচ্ছ করে দেখার নয়। এটা অনেকের কাছেই মনে হতে পারে অতি সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তারাই কেবল বুঝতে পারেন এর মর্ম। সারা রাতের ঘুমের ওপরই অনেকটা নির্ভর করে সারা দিনের পারফরমেন্স।
তাই বলা হয়, ভালো ঘুমের জন্য একজন মানুষকে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। বর্তমান সময়ে ঘুম সংক্রান্ত অনেক রোগ যেমন দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের অভাব এবং ঘুমের ব্যাঘাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকসহ অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়।
ঘুম দিবসের ইতিহাস
একজন সুস্থ মানুষের জন্য ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষকে নানা রোগে ভুগতে হয়। তাই, ঘুম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলো এড়াতে, ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঘুম দিবস শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। এখন বিশ্ব ঘুম দিবস ৮৮টিরও বেশি দেশে পালিত হয়।
আরও পড়ুন
ঘুমের জন্য বার্ষিক সচেতনতা ইভেন্টটি একদল চিকিৎসক এবং গবেষকদের দ্বারা শুরু হয়েছিল। বিশ্ব ঘুম দিবসের প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন আপস্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নিউরোলজির অধ্যাপক আন্তোনিও কুলেব্রাস এবং ইতালির পারমা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক লিবোরিও প্যারিনো।
বিশ্ব ঘুম দিবসের তাৎপর্য
বর্তমান সময়ে মানুষ খারাপ লাইফস্টাইল অবলম্বন করছেন, যার কারণে তারা ঘুমের অভাবেও ভুগছেন। ঘুমের অভাবে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মানুষকে সচেতন করতে বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। যাতে মানুষকে বোঝানো যায় যে কাজের পাশাপাশি ভালো ঘুম হওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরি।
বিশ্ব ঘুম দিবস ২০২৪ থিম
প্রতি বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের একটি ভিন্ন থিম থাকে। এ বছর বিশ্ব ঘুম দিবসের থিম ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের সমতা’।
এমএ