দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শসা ও লেবু, ক্রেতাদের ক্ষোভ
শুরু হয়েছে বরকতপূর্ণ পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা ও লেবু। এ বছর রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই লেবু ও শসার দামেও যেন আগুন লেগেছে। সপ্তাহ ভেদে প্রতি কেজি শসার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অন্যদিকে, প্রতি হালি লেবুর দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বাসাবো মাদারটেক কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
সরেজমিনে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতি কেজি শসার দাম বেড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্নমানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এদিকে, স্বপ্নসহ অভিজাত সুপারশপগুলোতে প্রতি কেজি শসা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে শসা কিনতে আসা রাব্বি হুসাইন বলেন, সব জিনিসের যে দাম... লেবু এবং শসাও এ থেকে রেহাই পেল না। আমরা কী খাব এটিরও একটা তালিকা করে দিক?
শসা বিক্রেতা শামীম মিয়া বলেন, কাঁচা বাজারের অবস্থা প্রতিদিনই বদলায়। রমজানের শুরুতেই বেগুনের দাম অনেক বেড়েছে। আমাদেরও কিছু করার নেই। সব তো আড়তদারদের হাতে। তারা বেশি দামে বিক্রি করে বলেই আমরাও বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করি।
এদিকে, লেবুর দোকান ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। একদিন আগে ৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবু আজ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়া লেবুও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া, সুপারশপগুলোতে ১৩ থেকে ১৫ টাকা দরে প্রতি পিস লেবু বিক্রি হচ্ছে।
লেবু বিক্রেতা হালিমা খাতুন বলেন, রমজানে লেবুর দাম দাম বাড়ছে। আগে যারা নিয়মিত লেবু নিত, তারা এখনো লেবু নিচ্ছে। মানুষের তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা যেমন দামে কিনছি, তেমন দামে বিক্রি করছি।
সামছুল আলম সাদ্দাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি রমজান ঘিরে অসাধু ব্যাবসায়ীরা যেন সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে না পারে। আসলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া ভালো কিছুই সম্ভব নয়। পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।
এমএম/কেএ