একই জায়গায় খাবার ও ডিটারজেন্ট-হারপিক তৈরি, লাখ টাকা জরিমানা
অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ট্যাং জাতীয় নকল সফট ড্রিংকস, চানাচুর ও চিপসের পাশাপাশি একই জায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকসহ টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার আলিফনগর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল হক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা।
আরও পড়ুন
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা বলেন, নকল ট্যাং, চিপস, চানাচুরের পাশাপাশি একই জায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিক তৈরির অপরাধে অভিযানে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামক প্রতিষ্ঠানটি আমরা সিলগালা করেছি। একইসঙ্গে বিএসটিআই আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছি। পাশাপাশি উৎপাদিত সব পণ্য আমরা জব্দ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা এসে সরাসরি তাদের অস্বাস্থ্যকর উপায়ে কাপড়ের রং ও চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরি করতে দেখেছি। এমনকি তারা এসব পণ্যে যেসব মোড়ক ব্যবহার করত, সেগুলো অন্যান্য নামি কোম্পানির নকল মোড়ক। এসব নকল ট্যাং খেলে যে কেউ মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগতে পারেন।
বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি তা হলো তারা সফট ড্রিংকস, চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একই জায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল, যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের অনুমোদন ছিল চিপস আর ডিটারজেন্টের। এর বাইরে যদি তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করে, তা অবৈধ। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তাদের মতো যত ধরনের প্রতিষ্ঠান-ফ্যাক্টরি আছে, সেগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
টিআই/এসএসএইচ