মহামারির পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতার ফসল
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানম বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারির এবং কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গড় প্রবৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতার ফসল।
রোববার (০৩ মার্চ) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সর্বতোভাবে অংশগ্রহণমূলক। এই নির্বাচনে জয় হয়েছে গণতন্ত্রের, জয় হয়েছে দেশের জনগণের, এ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি, কোভিড পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীল, গড় প্রবৃদ্ধি বিরাজমান তা প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতার ফসল। যখন বিশ্ব যুদ্ধ বিধ্বস্ত, ইউক্রেন-রাশিয়া, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্ব টালমাটাল অবস্থা, সেখানে বাংলাদেশে অনেকাংশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দেশ পরিচালনা প্রশংসনীয়। আয় বাড়া, রপ্তানি আয় বাড়া, বয়স্ক ভাতা নারী ও শিশুদের ভাতা, ১৮ বছরের ওপরের মানুষের জন্য সার্বজনীন পেনশন ভাতা এসবই প্রধানমন্ত্রীর জন্য সম্ভব হয়েছে।
ওয়াসিকা আয়শা খানম বলেন, সব নাগরিককে এই পেনশনের আওতায় আনার মধ্য দিয়ে দেশের সব নাগরিকের বৈষম্য হ্রাস করা, বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন দেশ গঠনের ডাক দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা দেশের বয়স্ক নাগরিকের একটি নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনার উদ্যোগ নেন।
সার্বজনীন পেনশনের মাধ্যমে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগের ফলে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সার্বজনীন পেনশন আইন ২০২৩ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া সারা দেশে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা সব নাগরিকের অবসরকালীন আর্থিক সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় পেনশন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সংগতি রেখে সার্বজনীন পেনশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি উন্নয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র কেবল জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় দারা নির্ধারিত করা যায় না। নাগরিকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা যে কোন দেশে নাগরিকের আর্থিক নিরাপত্তা দারা বিবেচিত হয়ে থাকে।
ওয়াসিকা আয়শা খানম বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের পরম কর্তব্য প্রধানমন্ত্রীর সেই হাতকে শক্ত করা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা এ দেশের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করব, এর জন্য তিনি সব নাগরিকের কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানের কথা স্মরণ করেন।
আরএইচটি/কেএ